ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে ঢালিউড কিং শাকিব খান অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা। এরই মধ্যে ব্যবসাসফল সিনেমাটি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সাফল্য পেয়েছে ‘প্রিয়তমা’।
এদিকে গত ২৯ জুন ‘প্রিয়তমা’ মুক্তি পেলেও প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখা হয়নি ঢালিউড কিংয়ের। তাই বুধবার (২ আগস্ট) নিউইয়র্কে জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাসে গিয়ে সিনেমাটি দেখেছেন তিনি। এ সময় শাকিব খানের সঙ্গে ছিলেন আশরাফ হিমেল, অভিনেত্রী নওশীন নেহরিন মৌ, অভিনেতা সৈয়দ আদনান ফারুক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
প্রেক্ষাগৃহে নিজের সিনেমা দেখার পর শাকিবের চোখে পানি দেখা যায়। তিনি আবেগাড়িত হয়ে পড়েছিলেন সিনেমাটি দেখে।
অন্যদিকে ‘প্রিয়তমা’র নির্মাতা হিমেল আশরাফ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টে তিনি লেখেন: ‘২০১৭ সালে প্রিয়তমা বানানোর ঘোষণার পর আমাকে আমেরিকা চলে আসতে হয় জীবনের প্রয়োজনে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আমাকে মিডিয়ায় ছোট করে হলেও বাঁচিয়ে রেখেছিলেন শাকিব খান। আমি দেশে উপস্থিত ছিলাম না, এরপরও তার প্রায় প্রতিটি সিনেমার অনুষ্ঠানে তিনি আমার কথা বলতেন, আমার নাম বলতেন।’
এ নির্মাতা আরও লেখেন: ‘প্রিয়তমা না করতে পারার পরও রাজকুমার ও মায়া নামের দুটি সিনেমায় আমার নাম ঘোষণা করার পর মোটামুটি সবাই টিটকারি মেরে হেসেছেন। তাকে সবাই বলতেন, হিমেলকে দিয়ে হবে না। নাটকের ছেলে, নাটক বানায় ফেলবে। কেউ বলতেন, ওর প্রথম সিনেমা ভালো যায় নাই, কুফা ভাই নিয়েন না। কেউ কেউ বলেছে শাকিব ভাই ভুল করতেছেন, ও তো নাটকের কিছু করতে পারে নাই, পরে বুঝবেন। ৯৯ ভাগ মানুষ শাকিব ভাইয়ের কাছে আমার নামে নেগেটিভ মন্তব্য করতেন। কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারণে উনি আমার ওপর আস্থা পেতেন। প্রায়ই বলতেন তুই একদিন বড় ডিরেক্টর হবি হিমেল।’
হিমেল আবেগতাড়িত হয়ে লেখেন: ‘আমি আজও জানি না তিনি আসলে কেন বলতেন এই কথা। শুধু আমাকে না, আমার অনুপস্থিতিতেও তিনি খুবই কনফিডেন্সের সাথে বলতেন, হিমেল ভালো সিনেমা বানাবে। তার কথা শুনে মানুষ মুচকি হাসত।’
হিমেল তার পোস্টে শাকিব খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন: “আজ প্রিয়তমা দেখা শেষে তার ভেজা চোখে চোখ পড়তেই আমাকে দেখে হেসে, কাঁদে হাত রেখে কিছু না বলেও যেন কত কিছু বললেন। আর আমি তার বিজয়ের হাসি দেখে মনে মনে বার বার বলছিলাম, ‘ভাইয়া থ্যাংক ইউ’।”
তিনি আরও লেখেন: ‘শাকিব খানের ব্যস্ত শিডিউলে হয়তো তার সাথে আমার অনেক কাজ হবে না, কিন্তু একজন নির্মাতা হিমেল আশরাফ আজীবন শাকিব খানের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে।’
এরই মধ্যে দেশের ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল এ ছবিটির মুক্তির দিন থেকে চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রস কালেকশন ২৬ কোটি ৯৫ লাখ। এ ছাড়া সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে অলটাইম ব্লকবাস্টারের তকমা পেয়েছে।