চট্টগ্রামে প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের আঞ্চলিক করপোরেট অফিস রয়েছে নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায়। রয়েছে বড় বড় কোম্পানির করপোরেট অফিস, শিপিং অফিস, বন্দর-কাস্টমকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান কার্যালয়ও।
ফুটপাতের বড় বাণিজ্যও রয়েছে নগরীর ব্যস্ততম এলাকা হিসাবে পরিচিত এ বাণিজ্যিক এলাকায়। বিশাল এ ব্যবসা-বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে এখানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজচক্র। আওয়ামী লীগের আমলে সন্ত্রাসীরা দলীয় গডফাদারদের আশ্রয়ে চাঁদাবাজি করলেও এখন সেই চাঁদাবাজি হাতবদল হয়ে এসেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের চাঁদাবাজদের হাতে। ফুটপাত থেকে শুরু করে শিপিং অফিস-সবখানেই এখন তাদের থাবা। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা ভয়ে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখও খুলতে পারছেন না।
ইতোমধ্যে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল আলম নিহত হয়েছেন। দুই সপ্তাহ পার হলেও কাউকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে একাধিক গ্রুপ বিভিন্ন গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি শুরু করে। এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নুরুল আলম। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় তিনি প্রতিবাদ করলেও শেষ পর্যন্ত তাকেই খুন হতে হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা এবং এর আশপাশে ফুটপাত ও সরকারি জায়গায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো অফিস খুলে বসেছে বিএনপির চিহ্নিত কিছু চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর থেকে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় তারা মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু এর প্রতিবাদ করেন নুরুল আলম। পরে ২৭ অক্টোবর হামলার শিকার হয়ে ২ নভেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান………..